একতরফা নির্বাচনের জন্যই বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা, আটক এবং একের পর এক সাজা দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের এক রাতেই মুক্তি দেয়ার  প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল- কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের এমন বক্তব্যে সরকারের গোমর ফাঁস হয়ে গেছে।

রিজভী বলেন, ‘গতকাল একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, নির্বাচন নির্বিঘ্ন-কন্টকমুক্ত করার জন্যই বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে জেলে রাখা হয়েছে। তিনি (আব্দুর রাজ্জাক) বলেছেন, আমরা চিন্তা ভাবনা করেই এই কাজ করেছি। তাদের জেলে না ভরলে দেশ অচল হয়ে যেতো। হরতালের দিন গাড়ি চলতো না।’

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা আরো বলেন, ‘ড. আবদুর রাজ্জাক সাহেব আরো বলেছেন যে বিএনপিকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল তারা নির্বাচনে আসলে নির্বাচন পিছিয়ে দেয়া হবে। শুধু পিছিয়ে দেয়া নয়, বলা হয়েছে, সবাইকে জেল থেকে ছেড়ে দেয়া হবে। এমনকি একরাতে সব নেতাকে জেল থেকে মুক্তির প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিএনপি রাজি হয়নি।’

‘এতক্ষণে-অরিন্দম কহিলা বিষাদের মতো কৃষিমন্ত্রীর এই হরষের স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা করে পুলিশি তাণ্ডব-হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে চলমান যত সহিংসতা, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার, হুলিয়া, হত্যা, বিএনপিসহ বিরোধী দলের বাড়ি-ঘরে হামলা-তল্লাশি, ভাঙচুর-গৃহছাড়া-আটক বাণিজ্য সবকিছু পূর্ব পরিকল্পিত,’ বলেন রিজভী।